গৌতম বুদ্ধ ধর্মের জতক
দেবধর্ম্ম জাতক শাস্তা জেতবনে অবস্থানকালে কোন বিভবশালী ভিক্ষু সম্বন্ধে এই কথা বলেছিলেন। শুনা যায় শ্রাবস্তীবাসী এক ভূম্যধিকারী পত্নী-বিয়োগের পর প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। প্রব্রাজক গ্রহণ করার সংকল্প করে তিনি নিজের ব্যবহার্য একটি ঘর, একটি অগ্নিশালা, এবং একটি ভাণ্ডার-গৃহ প্রস্তুত করেছিলেন, এবং যতদিন সেই ভাণ্ডার ঘৃত-তণ্ডুলাদি দ্বারা পরিপূর্ণ না হওয়া অবধি তিনি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন নাই। প্রব্রাজক হওয়ার পরেও তিনি ভৃত্যদিগকে(কর্মচারীগণকে) ডেকে ইচ্ছেমত খাদ্য পাক করে আহার করতেন। তাঁর আসবাবেরও অভাব ছিল না। তিনি দিনের জন্য এক প্রস্থ এবং রাত্রির জন্য এক প্রস্থ পরিচ্ছদ(জামাকাপড়) রাখতেন এবং বিহারের প্রত্যন্ত অংশে একাকী অবস্থান করতেন। একসময় ঐ ব্যক্তি পরিচ্ছদ ও শয্যা বাহির করিয়া প্রকোষ্ঠ মধ্যে শুকাতে দিয়েছিলেন, এমন সময়ে কতকগুলি জনপদবাসী ভিক্ষু নানা অঞ্চলের বিহার পরিদর্শন করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন। তাঁরা ঐ ভিক্ষুর শয্যা ও পরিচ্ছদের ঘটা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ সমস্ত কার?’ ভিক্ষু বললেন, ‘এ সমস্ত আমার।’ ‘সে কি? এই এক বহির্ব্বাস! এই এক বহির্ব্বাস! এই এক অন্তর্ব্বাস, এই এক অন্তর্ব্বাস! আর এই শয্যা-এ স...