গৌতম বুদ্ধ ধর্মের জতক
দেবধর্ম্ম জাতক
শাস্তা জেতবনে অবস্থানকালে কোন বিভবশালী ভিক্ষু সম্বন্ধে এই কথা বলেছিলেন। শুনা যায় শ্রাবস্তীবাসী এক ভূম্যধিকারী পত্নী-বিয়োগের পর প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। প্রব্রাজক গ্রহণ করার সংকল্প করে তিনি নিজের ব্যবহার্য একটি ঘর, একটি অগ্নিশালা, এবং একটি ভাণ্ডার-গৃহ প্রস্তুত করেছিলেন, এবং যতদিন সেই ভাণ্ডার ঘৃত-তণ্ডুলাদি দ্বারা পরিপূর্ণ না হওয়া অবধি তিনি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন নাই। প্রব্রাজক হওয়ার পরেও তিনি ভৃত্যদিগকে(কর্মচারীগণকে) ডেকে ইচ্ছেমত খাদ্য পাক করে আহার করতেন। তাঁর আসবাবেরও অভাব ছিল না। তিনি দিনের জন্য এক প্রস্থ এবং রাত্রির জন্য এক প্রস্থ পরিচ্ছদ(জামাকাপড়) রাখতেন এবং বিহারের প্রত্যন্ত অংশে একাকী অবস্থান করতেন।
একসময় ঐ ব্যক্তি পরিচ্ছদ ও শয্যা বাহির করিয়া প্রকোষ্ঠ মধ্যে শুকাতে দিয়েছিলেন, এমন সময়ে কতকগুলি জনপদবাসী ভিক্ষু নানা অঞ্চলের বিহার পরিদর্শন করতে করতে সেখানে উপস্থিত হলেন। তাঁরা ঐ ভিক্ষুর শয্যা ও পরিচ্ছদের ঘটা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ সমস্ত কার?’ ভিক্ষু বললেন, ‘এ সমস্ত আমার।’ ‘সে কি? এই এক বহির্ব্বাস! এই এক বহির্ব্বাস! এই এক অন্তর্ব্বাস, এই এক অন্তর্ব্বাস! আর এই শয্যা-এ সমস্তই কি আপনার? ‘হাঁ, এসমস্তই আমার; অন্য কারো নয়। ‘মহাশয়, ভগবান ভিক্ষুদের জন্য কেবল ত্রিচীবরের ব্যবস্থা করেছিলেন। আপনি যে বুদ্ধের শাসনে প্রবেশ করেছেন, তিনি কেমন নিঃস্পৃহ; আর আপনি ভোগের জন্য এত উপকরণ সংগ্রহ করেছেন। চলুন, আপনাকে দলবলের নিকট নিয়ে যাই।’ ইহা বলে তাঁরা সেই ভিক্ষুকে নিয়ে শাস্তার নিকট গেলেন।
তাঁদের দেখে শাস্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ভিক্ষুগণ, তোমরা এই ভিক্ষুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এখানে আনলে কেন?’ ‘ভগবান, এই ব্যক্তি বিভবশালী। সে পরিচ্ছদাদি বহু উপকরণ সংগ্রহ করেছেন। ‘কি হে ভিক্ষু, তাঁরা বলতেছে, তুমি বহু উপকরণ সংগ্রহ করেছ; এ কথা সত্য কি?’ ‘হ্যাঁ ভগবান, এ কথা সত্য।’ ‘তুমি পরিচ্ছদাদি উপকরণের এত ঘটা করেছ কেন? আমি কি নিয়ত নিঃস্পৃহতা, সন্তুষ্টচিত্ততা, নির্জ্জনবাস, দৃঢ়বীর্য্যতা প্রভৃতি প্রশংসা করি না?’
শাস্তার এই কথায় ক্রুদ্ধ হয়ে সেই ভিক্ষু বললেন, ‘তবে আমি এইভাবে বিচরণ করব এবং বহির্ব্বাস পেলে দিয়ে সভামাঝে একচীবর মাত্র পরিধান করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাঁকে উপদেশ দ্বারা ধর্ম্মপথে পরিচালিত করবার অভিপ্রায়ে শাস্তা বললেন, ‘তুমি না পূর্ব্বে উদকরাক্ষসরূপে জন্মগ্রহণ করেও লজ্জাশীলতা অর্জন করবার জন্য বার বছর বহু যত্ন করেছিলে? তবে এখন কিভাবে গৌরবময় বুদ্ধশাসনে প্রবেশ করেও নির্লজ্জভাবে বহির্ব্বাস পরিহারপূর্ব্বক দাঁড়িয়ে আছ?’ এই কথায় উক্ত ভিক্ষুর লজ্জাশীলতা ফিরে আসল; তিনি পুনর্ব্বার বহির্ব্বাস গ্রহণ করলেন এবং শাস্তাকে প্রণিপাতপূর্ব্বক একান্তে উপবেশন করলেন।
তখন ভিক্ষুরা উদকরাক্ষস-সংক্রান্ত বৃত্তান্ত জানবার জন্য ব্যগ্রতা প্রকাশ করলেন। তা দেখে শাস্তা ভাবান্তরপ্রতিচ্ছন্ন সেই অতীত কথা প্রকাশ করলেন :
পুরাকালে বারাণসী রাজ্যে ব্রহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন। বোধিসত্ত্ব তাঁর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করে এবং তাঁর নাম রাখা হয়েছিল মহিংসাসকুমার। বোধিসত্ত্ব যখন দুই তিন বৎসর বয়সে হাঁটতে ও ছুটাছুটি করিতে শিখেছিলেন, তখন তাঁর একটি ভাই জন্মেছিল। রাজা এই পুত্রের নাম রাখলেন চন্দ্রকুমার। অনন্তর চন্দ্রকুমার যখন হাঁটতে ও ছুটতে শিখলেন, তখন মহিষীর প্রাণবিয়োগ হল এবং ব্রহ্মদত্ত আবার বিয়ে করে নবীনা মহিষীকে জীবনের সর্ব্বস্ব করে নিলেন।
কিছুদিন পরে নবীনা মহিষীও একটি পুত্র প্রসব করলেন; তাঁর নাম রাখা হল সূর্য্যকুমার। রাজা নবকুমার লাভ করে অতিমাত্র আহ্লাদিত হলেন এবং মহিষীকে বললেন, ‘প্রিয়ে, এই বালকের জন্য তুমি যে বর প্রার্থনা করবে, আমি তাই দেব।’ কিন্তু মহিষী তখন কোন বর চাইলেন না; তিনি বললেন, ‘মহারাজ, যখন প্রয়োজন হবে, তখন আপনাকে এ কথা স্মরণ করে দিব।’
কালসহকারে সূর্য্যকুমার বয়ঃপ্রাপ্ত হলেন। তখন একদিন মহিষী রাজাকে বললেন, ‘মহারাজ এই বালক যখন ভূমিষ্ঠ হয়, তখন আপনি অঙ্গীকার করেছিলেন তাঁকে একটি বর দিবেন। অতএব এখন তাঁকে রাজপদ দান করুন।’ রাজা উত্তরে বললেন, ‘আমার প্রথম দুইপুত্র প্রজ্জলিত অগ্নির ন্যায় তেজস্বী। আমি তাদেরকে ত্যাগ করে তোমার পুত্রকে রাজ্য দিতে পারি না।’ কিন্তু মহিষী এ কথায় নিরস্ত হলেন না। তিনি এই প্রার্থনা পূরণের জন্য রাজাকে দিনরাত জ্বালাতন করতে লাগলেন। তখন রাজার আশঙ্কা হল পাছে মহিষী কুচক্র করে সপত্নী-পূত্রদের কোন ক্ষতি করেন। তিনি
মহিংসাসকুমার ও চন্দ্রকুমারকে ডেকে বললেন, ‘বৎসগণ, যখন সূর্য্যকুমারের জন্ম হয়, তখন আমি তোমাদের বিমাতাকে একটি বর দিতে চেয়েছিলাম। সেই বরে এখন তিনি সূর্য্যকুমারকে রাজ্য দিতে বলতেছে। কিন্তু সূর্য্যকুমার রাজা হয় এ ইচ্ছা আমার একেবারেই নাই। তথাপি স্ত্রী-বুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী; আশঙ্কা হয় রাণী হয়ত তোমাদের সর্বনাশসাধনের চেষ্টা করবেন। অতএব তোমরা এখন বনে গিয়ে আশ্রয় নাও। আমার মৃত্যু হইলে শাস্ত্রানুসারে এ রাজ্য তোমরাই পাবে; তোমরা তখন এসে ইহা গ্রহণ করিও।’ তারপর অশ্রুপূর্ণনয়নে বিলাপ করতে করতে তিনি পুত্রদ্বয়ের মুখচুম্বন করে তাঁদেরকে বনে পাঠালেন।
রাজকুমারদ্বয় পিতার চরণবন্দনা করে যখন প্রাসাদ হইতে বাহির হলেন, তখন সূর্য্যকুমার প্রাঙ্গণে খেলা করছিল। অগ্রজদ্বয়ের বনে যাচ্ছেন-কারণ জানতে পেরে তিনিও তাঁদের সাথে যাওয়ার সংকল্প করলেন। এইভাবে তিনভাই একসঙ্গে বনবাস করতে গেলেন।
রাজকুমারেরা যেতে যেতে অবশেষে হিমালয় পর্বতে উপনীত হলেন। সেখানে বোধিসত্ত্ব একদিন এক তরুমূলে বসে সূর্য্যকুমারকে বললেন, ‘ভাই, দৌড়ে গিয়ে ঐ সরোবরে(বড়পুকুর) থেকে স্নান কর ও জল খাও; শেষে আসবার সময় আমাদের জন্য পদ্মপাতায় কিছু জল নিয়ে এসো।`
সরোবর পূর্বে কুবেরের অধিকারে ছিল। তিনি তা এক উদক-রাক্ষসকে দান করে বলে দিয়েছিল ‘দেবধর্ম্ম-জ্ঞানহীন যে ব্যক্তি ইহার জলে নামবে সে তোমার খাবার হবে। যারা পানিতে নামবে না, তাদের উপর কিন্তু তোমার কোন অধিকার থাকবে না।’ তখন থেকে সেই উদক-রাক্ষস, কেউ পানিতে নামলেই, তাকে ‘দেবধর্ম্ম কি?’ এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করত এবং সে উত্তর দিতে না পারলে তাকে খেয়ে নিত। সূর্য্যকুমার এ বৃত্তান্ত জানতেন না। তিনি নিঃশঙ্কমনে যেমন পানিতে নেমেছিলেন, অমনি উদক-রাক্ষস তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘দেবধর্ম্ম কাকে বলে জান কি?’ সূর্য্যকুমার বললেন, ‘জানি বৈকি, লোকে সূর্য্য ও চন্দ্রকে দেবতা বলে।’ রাক্ষস বলিল, ‘মিথ্যা কথা; তুমি দেবধর্ম্ম জান না।’ তারপর সে সূর্য্যকুমারকে টেনে পানির ভেতর নিয়ে গেল এবং নিজের ঘরে আবদ্ধ করে রাখল।
সূর্য্যকুমারের ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে বোধিসত্ত্ব চন্দ্রকুমারকে তাঁর অনুসন্ধানে পাঠালেন। রাক্ষস চন্দ্রকুমারকেও ধরে একই প্রশ্ন করলেন। চন্দ্রকুমার উত্তর দিলেন, ‘চারদিক দেবধর্ম্ম-বিশিষ্ট।’ রাক্ষস বললেন, ‘মিথ্যা কথা, তুমি দেবধর্ম্ম জান না।’ সে চন্দ্রকুমারকেও টেনে গভীর পানির ভিতর নিয়ে গেল এবং নিজের ঘরে আবদ্ধ করে রাখলেন।
চন্দ্রকুমারও ফিরে না আসা দেখে বোধিসত্ত্বের আশঙ্কা হলো হয়ত দুই ভ্রাতারই কোন বিপদ হয়েছে। তিনি তাঁদেরকে অনুসন্ধানে ছুটেগেলেন এবং পায়ের চিহ্ন দেখে বুঝলেন তাঁরা দুই জনেই সরোবরে নেমে ছিলেন। তখন তাঁর সন্দেহ হল ঐ সরোবরে কোন উদকরাক্ষস আছে। অতএব তরবারি খুলে ও ধনুর্ব্বাণ হাতে নিয়ে তিনি রাক্ষসের আগমন প্রতীক্ষা করতে লাগলেন।
উদকরাক্ষস দেখল বোধিসত্ত্ব পানিতে নামছেন না। তখন সে তাঁর নিকট বানচরের বেশে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ভাই, তুমি দেখিতেছি, পথশ্রমে ক্লান্ত। জলে নেমে অবগাহন কর, মৃণাল ও জল খাও, পদ্মের মালা পর; তাহা হলে শরীর শীতল হবে, আবার পথ চলতে পারবে।’ বোধিসত্ত্ব তাহাকে দেখে রাক্ষস বলে চিনতে পেরেছিলেন। তিনি বললেন, ‘তুমিই না আমার ভাই দুইটিকে ধরে রেখেছ?’ রাক্ষস বলল, ‘হ্যাঁ’।
কেন ধরলে?’
‘যারা এই জলে নামে তারা আমার খাবার।
‘সকলেই তোমার খাবার?’
‘কেবল যারা দেবধর্ম্ম জানে তারা নয়। তারা ব্যতীত আর সকলেই আমার খাবার।
‘দেবধর্ম্ম কি জানতে চাও?’
‘হ্যাঁ, জানতে চাই।’
‘তবে দেবধর্ম্ম ব্যাখ্যা করতেছি, শ্রবণ কর।’
‘বল, দেবধর্ম্ম কি তা শুনব।’
বলব বটে, কিন্তু পথশ্রমে বড় ক্লান্ত হয়েছি।
তখন রাক্ষস তাঁকে স্নান করালেন; খাদ্য ও পানীয় জল দিল, পদ্মফুল দিয়ে সাজালেন, গন্ধদ্বারা অনুলিপ্ত করলেন এবং তাঁর শয়নের নিমিত্ত বিচিত্র মণ্ডপের মধ্যে পর্য্যঙ্ক স্থাপিত করলেন। বোধিসত্ত্ব পর্য্যঙ্কে উপবেশন করলেন; রাক্ষস তাঁর পাদমূলে বসল। বোধিসত্ত্ব তাকে সম্বোধন করে বললেন, দেবধর্ম্ম কি শ্রবণ কর :
নিয়ত প্রশান্তচিত্ত, সত্যপরায়ণ
নির্ম্মল অন্তরে করে ধর্ম্মের ভজন,
উদিলে কলুষভাব লাজ পায় মনে;
দেবধর্ম্ম বলে তুমি জানবে সে জনে।’
এই ব্যাখ্যা শুনে রাক্ষস সন্তুষ্ট হল এবং বোধিসত্ত্বকে বললেন, ‘পণ্ডিতবর, আমি তোমার কথায় শ্রদ্ধান্বিত হলাম। আমি তোমার একজন ভ্রাতাকে প্রত্যর্পণ করতেছি; বল কাকে আনব।’
‘আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে আন।’
‘তুমি দেবধর্ম্ম জান বটে, কিন্তু তদনুসারে কাজ কর না।’
‘এ কথা বলতেছ কেন?’
‘যে বড় তাকে ছেড়ে, যে ছোট তাকে বাঁচাতে চাও কেন? ইহাতে জ্যেষ্ঠের মর্যদা রাখা হল কি?’
‘আমি দেবধর্ম্ম জানি, তদনুসারে কাজও করি। কনিষ্ঠটি আমাদের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা। তাঁর জন্য আমরা বনবাসী হয়েছি। বিমাতা তাকে রাজা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু পিতা তাতে অসম্মত হয়ে আমাকে ও আমার সহোদরকে বনে আশ্রয় নিতে বলেন। আমরা বনে আসতেছি দেখে এ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমাদের অনুগমন করেছে, একদিনও গৃহে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবে নাই। অধিকন্তু, আমি যদি বলি তাকে রাক্ষসে খেয়েছে, তাহা হলে কেউ সে কথা বিশ্বাস করবে না। অতএব লোকনিন্দার ভয়েও আমি তোমার নিকট তার জীবন ভিক্ষা করতেছি।’
বোধিসত্ত্বের কথা শুনে রাক্ষস ‘সাধু, সাধু’ বলে উঠে। সে বলল, ‘এখন বুঝলাম তুমি দেবধর্ম্ম জান এবং তদনুসারে কাজও কর।’ অনন্তর সে প্রসন্ন হয়ে বোধিসত্ত্বের উভয় ভ্রাতাকেই এনে দিল। তখন বোধিসত্ত্ব রাক্ষসকে বললেন, ‘ভদ্র, অতীতকালে তুমি যে পাপকার্য্য করেছ তারই ফলে রাক্ষসজন্ম গ্রহণ করে এখন তোমাকে অপর প্রাণীর রক্তমাংসে দেহ ধারণ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও তোমার শিক্ষা হয়নি। তুমি এ জন্মেও পাপসঞ্চয় করতেছ; এর ফলে তোমাকে চিরদিন নিরয়গমন, নীচ যোনিতে পুনর্জ্জন্ম গ্রহণ প্রভৃতি যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। অতএব এই সময় হইতে নীচপ্রবৃত্তি পরিহার করে সৎপথে বিচরণ কর।’
এইভাবে রাক্ষসকে ধর্ম্মপথে এনে বোধিসত্ত্ব সেই বনে অনুজদের সাথে বাস করতে লাগলেন। রাক্ষস তাঁদের রক্ষণাবেক্ষণের ভার নিলেন। অনন্তর একদিন নক্ষত্র পর্য্যবেক্ষণ করে বোধিসত্ত্ব জানতে পারিলেন তাঁর পিতা মানবলীলা সংবরণ (মৃত্যুবরণ) করেছেন। তখন তিনি ভ্রাতৃদ্বয় ও উদক-রাক্ষসকে সঙ্গে নিয়ে বারাণসীতে প্রতিগমনপূর্বক রাজ্য গ্রহণ করলেন। বোধিসত্ত্ব চন্দ্রকুমারকে উপরাজও সূর্য্যকুমারকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। উদক-রাক্ষসের জন্য তিনি এক রমণীয় স্থানে বাসভবন নির্মাণ করে দিলেন এবং তাহার ব্যবহারের জন্য উৎকৃষ্ট পুষ্প, মাল্য, খাদ্য প্রভৃতি দেবার ব্যবস্থা করলেন। এইভাবে যথাসাধ্য রাজ্যপালন করে বোধিসত্ত্ব কর্ম্মানুরূপ ফলভোগার্থ লোকান্তর গমন করলেন।
কথা শেষ হলে ভগবান ধর্ম্মোপদেশ দিতে লাগলেন এবং তা শুনে সেই ভিক্ষু স্রোতাপত্তি-ফল লাভ করলে
বি.দ্র: তখন এই ঐশ্বর্য্যশালী ভিক্ষু ছিল পুরাকালের সেই উদক-রাক্ষস; আনন্দ ছিলেন সূর্য্যকুমার এবং সারীপুত্র ছিলেন চন্দ্রকুমার।
Comments
Post a Comment